প্রশ্ন : অনেক শি’শুই (baby) শা’রীরিক এবং মা’নসিক ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, প্রতিব’ন্ধী হয়ে জন্মায়, এটি কেন হয়?
উত্তর : জন্মগত ত্রুটি বিভিন্নভাবে হতে পারে। একটি ত্রুটি গঠনগত কারণে হয়; এটি দেখা যায়। এ সমস্যায় হয়তো শি’শুর (baby) হাত বা পা থাকে না। আরেকটিকে বলা হয় ফাংশনাল ত্রুটি, এ ক্ষেত্রে হয়তো শি’শুর (baby) বুদ্ধি ঠিকমতো হয় না; সে কানে শুনতে পায় না বা চোখে দেখতে পারে না। অপরটি হলো মেটাবলিক ত্রুটি, সেটা স্বাভাবিকভাবে বোঝা যায় না; কিছু আচরণ দিয়ে বোঝা যায়। যেমন : কনজেনটাল হাইপোথারোয়েডিজম। সারা পৃথিবীতেই চার হাজারেরও বেশি শি’শু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। আমাদের দেশেও এই সমস্যা রয়েছে।
প্রশ্ন : এর কারণ কী
উত্তর : কারণ অনেক। এরমধ্যে একটি হলো জেনেটিক কারণ। এটা হঠাৎ করে হতে পারে। আবার অনেক সময় যদি নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হয় এদের সমস্যা হতে পারে। অথবা বেশি বয়সে স’ন্তান নিলেও অনেক
সময় ডিমের মধ্যে বা স্পার্মের মধ্যে ত্রুটি হতে পারে।
প্রশ্ন : বয়সের কারণে যে সমস্যাটি হয় সেটা কি না’রী-পু’রুষ উভ’য়ের বেলায় প্রযোজ্য?
উত্তর : না’রীর বেলায় সমস্যা হতে পারে ৩৫ বছরের পরে এবং পু’রুষের বেলায় হতে পারে ৫০ বছরের পরে। ছেলেরা বেশি ঝুঁ’কিপূর্ণ থাকে। কারণ ছেলেদের স্পার্মের সমস্যায় জন্য এই ত্রুটি হয়।
প্রশ্ন : ত্রুটিপূর্ণ স’ন্তান হওয়ার পেছনে পরিবেশগত কী কারণ জ’ড়িত?
উত্তর : কাজের পরিবেশ অনেক জ’ড়িত। যারা ব্যাটারি ফেক্টরিতে কাজ করে তাদের এই সমস্যা হতে পারে। না’রীর মধ্যে যারা পার্লারে কাজ করে তারা ব্লিচ করার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করে এর ফলে সমস্যা হতে পারে। আমরা যে পানি পান করি, এর মধ্যে অনেক সময় প্রেসটিসাইজড, হারবিসাইজড থাকে, সেগুলো সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া খাবারের মধ্যে প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে এসবের কারণেও সমস্যা হয়।
একটা শি’শু (baby) জন্মের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তার সব অঙ্গপ্রতঙ্গ তৈরি হয়ে যায়। তখন যা কিছু খাওয়া হয় সবই মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার শ’রীরে যেতে পারে। এর প্রভাবেই শি’শু (baby) সুস্থ হবে না অ’সুস্থ হবে- তা অনেকটাই বোঝা যায়।
অনেক সময় দেখা যায় মা হয়তো ধূমপান করে না, বাবা করে, এক্ষেত্রে মা পরোক্ষ ধূমপায়ী হয়ে যায়।
প্রশ্ন : অনেকেই নানা রকম নে’শায় আসক্ত হয়ে পড়ে সেই বি’ষয়গুলোও কী স’ন্তানের ক্ষ’তি করে?
উত্তর : শি’শুর (baby) জন্মগত ত্রুটি হওয়ার পেছনে নে’শা একটি বি’ষয়। নে’শা অনেক ক্ষ’তি করে। এর প্রভাব হয়তো আমরা এখন বুঝব না। আরো ১০ বছর পরে বুঝতে পারব যে আমাদের সমাজের কতখানি ক্ষ’তি এই নে’শার জন্য হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : ঝুঁ’কিপূর্ণ মাকে তাঁর জীবনযাপন, খাবারদাবারের বি’ষয়ে কী পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : যদি কোনো মা ত্রুটি পূর্ণ শি’শু (baby) জন্ম দেয় তবে অবশ্যই তাঁর বাচ্চা নেওয়ার আগে পরামর্শ ( কাউন্সেলিং) দরকার। অনেক সময় জেনেটিক টেস্ট করা হয়, স্বা’মী-স্ত্রীর ক্রমোজোমাল টেস্টও করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি যখন গ’র্ভধারণ (pregnant) করেন আমরা তখন প্রতিরোধ হিসেবে ফলিক এসিড, মাল্টিভিটামিন দিই, বি ভিটামিন দেওয়া হয়। হাইডোজ এ ভিটামিন না দেওয়াই ভালো। ফলিক এসিড-৪ মিলিগ্রাম গ’র্ভধারণের (pregnant) এক মাস আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হয়। তারপর গ’র্ভধারণ করলে অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।এ ছাড়া মাকে আমরা কিছু টেস্ট করিয়ে থাকি। যেমন : গ’র্ভধারণের প্রথম ১৩ সপ্তাহের মধ্যে শি’শুর সমস্যা আছে কি না দেখা হয়। তার পরবর্তী সময়ে ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে এনোমালি স্কেন করি। এখন কিন্তু সব অঙ্গপ্রতঙ্গই আল্ট্রাসোনোগ্রামের মধ্য দিয়ে দেখা যায়। তবে বেশি আল্ট্রাসোনোগ্রাম করাও কিন্তু শি’শুর জন্য ক্ষ’তিকর। আল্ট্রাসাউন্ড বিম শি’শুর বৃ’দ্ধিকে ক্ষ’তি করে।
প্রশ্ন : ত্রুটিপূর্ণ শি’শু (baby) জন্ম’দানের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাকেই দায়ী করা হয়। যেসব কুসংস্কার প্রচলিত আছে সে বি’ষয়ে আপনি কী বলবেন?
উত্তর : কুসংস্কার তো কুসংস্কারই। এর কোনো ভিত্তি নেই। স্বা’মীর বয়স যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে সিমেন এনালাইসিস করা হয় , স্পার্মের অবস্থা কীরকম সেটা দেখা হয়। তার মোরফোলজি কীরকম, গঠনগত কোনো ত্রুটি রয়েছে কি না এসবও দেখা হয়। এমনকি স্বা’মী যদি স্বাস্থ্যবান হন সে ক্ষেত্রেও কিন্তু শি’শুর (baby) সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্বা’মী এবং আ’নন্দ আমরা ওজন নিয়’ন্ত্রণ করতে বলি এবং খাবারদাবার পরিবর্তনে কিছু পরামর্শ দেই। যেমন, বলা হয় গরুর মাংস এড়িয়ে গেলে ভালো। ফার্মের মুরগি এড়িয়ে যেতে বলি। ফল, সবজি এসব খেতে বলা হয়।
প্রশ্ন : আমরা জানি, ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চা হওয়ার পেছনে কিছু ভাই’রাসও দায়ী। সে ক্ষেত্রে টিকা বা ভ্যাকসিনের কী ভূমিকা আছে? একজন স’ন্তানসম্ভবা মা না বুঝে অনেক ও’ষুধ (medicine)খেয়ে ফেলতে পারে, এতে কী ধরনের সমস্যা হয়?
উত্তর : রুবেলা ভাই’রাসের কারণে সমস্যা হয়। পরিকল্পিত গ’র্ভধারণের (pregnant) এক মাস আগে থেকে প্রয়োজন হলে রুবেলা ভেকসিন দিতে হবে। এর ফলে রুবেলা স’ম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। এ ছাড়া আরো অনেক ভাই’রাস যেমন : সাইটোমেগালা, টক্সোপ্লাজমা, প্লাবোভাই’রাস এমনকি ফ্লু ভাই’রাস, চিকেন পক্স ভাই’রাস এসব থেকেও সমস্যা হয়। সে জন্য বলব, গ’র্ভধারণের(pregnant) সময় না’রীটিকে কোনো অবস্থাতেই বেশি ভিড়ের মধ্যে যাওয়া ঠিক না। কোনো সংক্রমিত রো’গী থাকলে তার থেকে একটু দূরে থাকতে হবে। খাবার দাবারে সাবধান হতে হবে। কোনো ও’ষুধ (medicine)চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না। আর গ’র্ভধারণের (pregnant) আগে যদি কোনো ও’ষুধ (medicine)খায় তবে গ’র্ভধারণের(pregnant) সময় কী সেই ধরনের ও’ষুধ (medicine) খাবে কি না সেটা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিতে
প্রশ্ন : অনেকের ধারণা থাকে গ’র্ভকালীন আয়রন, ফলিক acid , ভিটামিন এসব ও’ষুধ (medicine)খাওয়া ভালো। সেটি কি নিজে নিজে খাওয়া তার ক্ষ’তির কারণ হতে পারে?
উত্তর : কখনোই নিজে নিজে কোনো চিকিৎসাপত্র বানানো উচিত নয়। ও’ষুধ (medicine)চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। কেননা প্রত্যেকটি ও’ষুধেরই একটি মাত্রা আছে। মাত্রাতিরিক্ত ও’ষুধ (medicine) তার জন্য ক্ষ’তির কারণ হতে পারে।সূত্র:ntvbd
মহান আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক পু’রুষের জন্য স্ত্রী হিসেবে একজন না’রীকে মনোনিত করে রেখেছেন। এই স্ত্রীর সাথে আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযাই স’হবা’স (physical relation) করলে আমরা সহজেই তৃ’প্তি লাভ করতে পারি। বেঁচে যেতে পারি এইডস এর মত নিশ্চিত মৃ’ত্যুর হাত থেকে।
মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, হে পু’রুষ সম্প্রদায় আমি তোমাদের জন্য তোমাদের আ’নন্দ হালাল করে দিয়েছি। যাতে করে তোমরা শয়তানের ধোঁকায় পরে বিপথগামী না হও।ধর্ম ও জীবনের আলোচনায় আজ আমরা জেনে নিব স্বা’মী (husband)স্ত্রী স’হবা’সের দোয়া, কখন স’হবা’স নি’ষিদ্ধ ও স’হবা’সের (physical relation) কিছু নিয়ম
স’হবা’সের দোয়া :
‘বিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা’ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।
স’হবা’স নি’ষিদ্ধ :
(১) রো’গী ব্যক্তি স’হবা’স করিলে তার রো’গ আরো বেড়ে যায় এবং শ’রীরের ক্ষ’তি হবে
(২) শ’রীরে জ্বর ও বেশি গরমে স্ত্রী স’হবা’স (physical relation) পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে
(৩) বৃ’দ্ধা ও বারবনিতার সঙ্গে স’হবা’স করলে আয়ু কমে যায়
(৪) হায়েজের অবস্থায় স্ত্রী স’হবা’স করলে স্বা’মী (husband) স্ত্রী দুই জনেই রো’গ হতে পারে
(৫) নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে নিকৃষ্ট স’ন্তান জম্ম লাভ করে
(৬) ভরা পেটে স্ত্রী স’হবা’স করলে কঠিন রো’গ হবে
(৭) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী স’হবা’স(physical relation) করলে চিরতরে স্বাস্থ্য ন’ষ্ট হয়ে যায়
(৮) ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী স’হবা’স করিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
স্বা’মী (husband)স্ত্রী স’হবা’স করার কিছু নিয়ম কানুন:
(১) রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে স’হবা’স(physical relation) না করা
(২) ফলবান গাছের নিচে স’হবা’স না করা
(৩) স’হবা’সের প্রথমে দোয়া পড়া
(৪) বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা
(৫) স’হবা’স করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শ’রীর স্পর্শন ও স’হবা’সের (physical relation) সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা না করা
(৬) রবিবারে স’হবা’স না করা
(৭) বুধবারের রাত্রে স’হবা’স না করা
(৮) চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স’হবা’স না করা
(৯) স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে স’হবা’স (physical relation) না করা, ইহাতে চোখের জ্যোতি ন’ষ্ট হয়ে যায়
(১০) বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী স’হবা’স না করা
(১১) স’হবা’সের সময় বেশি কথা না বলা